যেকোনো ধরনের বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই নিজেদের সুরক্ষায় আরও গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন না করতে পারলে, আমি ১০টা বার্ন হাসপাতাল করেও মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারব না। সম্প্রতি বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডসহ বেশ কিছু ঘটনায় আমরা বাস্তব প্রমাণ পেয়েছি।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ১১টায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের গ্রাউন্ড ফ্লোরে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘সিপিআর সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বেইলি রোডে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছেন। অন্যদের মধ্যে যাদের ৮০ শতাংশের বেশি দগ্ধ তারাও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের শরীর পুড়েনি। তারা শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। সে সময় তাদের যদি উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া যেত, তাদের অনেকেই কিন্তু বেঁচে যেতেন।
তিনি বলেন, যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি যে কোনো স্থানেই মানুষ অসুস্থ হতে পারে, হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে, এজন্য সিপিআর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিপিআর শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ না রেখে সারাদেশে কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করব। সিপিআর বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সঙ্গে সরকার কাজ করবে। এই কর্মসূচি আমরা যত করতে পারব, ততই মানুষের উপকার হবে। চিকিৎসকদের প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আজকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অত্যন্ত মহৎ কাজ। আমি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদকে এমন আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো বিষয়েই মানুষকে সচেতন করতেই হবে। আমি জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিকেও বলেছি, আমাদের দেশে সচেতনতায় বেশি জোর দিতে হবে।
বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে আমরা কেউ এখানে থাকতে পারতাম না। দেশ স্বাধীন না হলে আমার মতো সামন্ত লালের জীবন উজিরপুরেই শেষ হয়ে যেত। আমাদের মধ্যে যদি ন্যূনতম মনুষ্যত্ববোধ থাকে তাহলে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা উচিত।